স্টাফ রিপোর্টার
ইসলামী মাহফিলের পোস্টারে নাম না দেওয়ায় সদর উপজেলার মাঝদীঝা দারুল উলুম নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ সাইদুল ইসলামকে (৩৮) জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার সন্ধা ৬ টা ৪০মিনিটে মাদরাসার অফিস কক্ষ হতে তাকে তুলে নিয়ে টিেিয় আহত ফেলে যায়। পওে সংবাাদ পেয়ে রাত্রী সাড়ে আটটার দিকে তাকে উদ্ধার করে নাটোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ সাইদুল ইসলাম (৩৮) মাঝদিঘা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান , নাটোর শহরের বুড়ার দরগাহ মসজিদেও পেশ ইমাম এবং নাটোর সদর উপজেলার মাঝদিঘা পূর্ব পাড়ার আবদুর রহমানের ছেলে।
নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সাইদুল সাইদুল ইসলাম জানান, এক সপ্তাহ আগে মাঝদীঝা দারুল উলুম নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার ্য ইসলামী জালসায় ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মামুন পাঠানের নাম না দেওয়ায় তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। এনিয়ে দুতিনদিন আগে মামুন পাঠান আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। শুক্রবার সন্ধা ৬টা ৪০মিনিটের দিকে িিতনি মাদরাসায় তার অফিস কক্ষে কোরআন পাঠরত অবস্থায় কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে ডেকে বের তার নাম জিজ্ঞাসা করে। এসময় তার নাম সাইদুল ইসলাম বলতেই ৬/৭ জন যুবক ধাক্কা দিয়ে আমাকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দুরে নাটোর-নলডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের চিকুর মোড় এলাকায় মূলসড়ক থেকে প্রায় ৫০ গজ দুওে সাইড সড়কে নেয়। এরপর আমাকে কোন কিছু জ্ঞিাসাবাদ না করেই আমাকে এলাপাতারি হকিস্টিক দিয়ে পিটাতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুর্বত্তরা তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে খবর পেয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনসহ এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন জানান, সন্ধ্যার পরে এলাকায় একটি সভা করার সময় তিনি সাইদুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর পান। পরে খোঁজখবর নিয়ে চিকুর মোড় থেকে তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর হাত-পায়ে হকিস্টক দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে ২নং ওয়ার্ড সদস্য মামুন পাঠানের মবোইলে ০১৭৮০-২২২২৫০ নম্বওে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। ফলে তার বক্তব্য নওেয়া যায়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় একটি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। মামালা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।