স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের বড়াইগ্রামে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী একজন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন কিশোরকে ১০ বছর করে আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত । সোমবার (২৯ এপ্রিল) নাটোরের শিশু আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ মার্চ দুপুরে বড়াইগ্রাম উপজেলার একটি জলাশয়ের পাশ দিয়ে ওই তরুণী হাঁটছিলেন। এ সময় ওই তিন কিশোর তাঁকে ওই জলাশয়ের পাশে নিয়ে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগীর গোঙানির শব্দে লোকজন ছুটে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এক দিন পর তরুণীর ভাই বাদী হয়ে অভিযুক্ত কিশোরদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলাটির তদন্ত শেষে তিনি ২০২০ সালের ২৩ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে মামলাটি বিচারের জন্য শিশু আদালতে আসে। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করা হয়।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আনিছুর রহমান বলেন, ওই কিশোরেরা বড় অপরাধ করেছে। আইনের দৃষ্টিতে তারা প্রাপ্তবয়স্ক হলে এ অপরাধের জন্য তাদের আরও কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হতো। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় শিশু আইনের বিধান অনুযায়ী তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন দোষী কিশোরদের সবার বয়স ১৭ বছরের কম হওয়ায় শিশু আইনের বিধান অনুসারে তাদের প্রত্যেককে সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর করে আটকাদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার পর তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাদের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হবে।