স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরে “ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আইন, ২০২৩’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (২৮ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনের খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াত স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার নামে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে নাটোরে।
১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামে ওয়াজেদ মিয়ার জন্ম প্রয়াত আবদুল কাদের মিয়া ও ময়জান নেছার সন্তান ওয়াজেদ মিয়া ‘সুধা মিয়া’ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন।
ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদা্থবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষয় প্রথম শ্রেণিতে তূতীয় এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোতর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করেন।
১৯৬৭ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনে যোগ দিয়ে চাকরি জীবন শুরু করেন। পরে আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগে যুক্ত ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬১ সালে ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনারনঙ্গে তার বিয়ে হয়। পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে বেশ কয়েকটি বই রয়েছে ওয়াজেদ মিয়ার। রাজনীতি নিয়েও বই লিখেছেন তিনি। ২০০৯ সালের ৯ মে মারা যান ওয়াজেদ মিয়া। অপরদিকে নাটোরে একটি কৃ িবিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জাতীিয় সংসদে দাবি তুলেন নাটোর সদর অঅসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিুমুল। এরপর নাটোরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে বলে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ঘোষণার প্রেক্ষিতে ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইউজিসি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রীসভায় প্রেরন করেন। গতকাল সোমবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে থসড়া প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়া হয়। সংবাদটি পাওয়ার পরেই নাটোরবাসীর মধ্যে খুশীর আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। টিআইবির সচেতন নাগরিক কমিটি নাটোরের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা এটি নাটোর বাসীর জন্য আনন্দের সংবাদ অভিহিত করে বিশ্ববিদ্যালয়টি নাটোর সদরে করার দাবি জানান।