স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরে ছিনতাইকৃত একটি অটো রিক্সা সহ তিনজন অটো ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।গত সোমবার রাতে নাটোর বিভিন্ন নাটোর সদর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তার কৃত ব্যাক্তিরা হলেন, নাটোর সদর উপজেলার লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া শ্রীধরপুর গ্রামের মৃত মোতালেব হোসেনের ছেলে ইমন আলী ২০ এবং রাজাপুর কামারদের গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে সিদ্দিকুর রহমান ৩৬। নাটোরের পুলিশ সুপার মারুফাত হোসেন মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নাটোর থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায় নাটোর শহরতলীর উলুপুর আম হাটি এলাকার ফারুক পাটোয়ারির ছেলে নীরব হোসেন ১৬ গত ২৩ সেপ্টেম্বর অটো নিয়ে ভারা কাটার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। ওইদিন বিকেলে অজ্ঞাত একজন ব্যক্তি রামাইগাছি এলাকায় যাওয়ার কথা বলে নীরবের অটোরিকশা ভাড়া করে। অটোরিকশাটি রামাইগাছি আমবাগান এলাকায় পৌঁছালে পেছনে থাকা যাত্রী নিরবের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে উপুর্যপরি হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে তাকে অটো রিক্সা থেকে ফেলে দেয়।

এ সময় তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৯০০ টাকা ছিনতাই করে নেওয়া হয় ।এরপর অটো রিক্সাটি নিয়ে ছিনতাইকারি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নীরবের বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির অভিযুক্ত করে নাটোর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ।এরপর
জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), নাটোর এর একটি টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত সোমবার রাতে নাটোর থানা এলাকায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ইমান আলী @ ইমন এর হেফাজত হতে ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন, নগদ ৯০০/- টাকা এবং ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত লোহার হাতুড়ী উদ্ধার এবং সহযোগী সিদ্দিকুরকে আটক করা হয়। পুলিশ সুপার মারুফাত হোসাইন জানান ,আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,তারা পরস্পর যোগসাজশে চালককে আঘাত করে অটোরিক্সা ছিনতাই করে। ছিনতাইকৃত অটোরিক্সার ০৪টি ব্যাটারী খুলে ভাঙ্গাড়ীর দোকানে বিক্রয় করে। পরে ইমনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নাটোর শহরের বড় হরিশপুর মহা সড়কের পার্শ্বে একটি বাগানের মধ্য থেকে ছিনতাইকৃত অটোরিক্সা এবং নাটোর থানাধীন তেলকুপি বাজার জনৈক মোঃ মনিরুল ইসলাম এর ভাংগাড়ী দোকান হতে উক্ত অটোরিক্সার ০৪টি ব্যাটারী উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে নাটোর শহর এলাকায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের সহযোগী ছিনতাইকৃত অটোরিক্সার ব্যাটারী বহনকারী ৩নং আসামী আব্বাস কাজীকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।