নাটোরে এখনো জমে উঠেনি পশুর হাট , হাসিল বাবদ বেশী টাকা আদায়ের অভিযোগ

  • সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩
নাটোরে এখনো জমে উঠেনি পশুর হাট , হাসিল বাবদ বেশী টাকা আদায়ের অভিযোগ#সংবাদ শৈলী

স্টাফ রিপোর্টার
আর ক’দিন পরেই মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব কোরবানী ঈদ। কোরবানীর জন্য পশু কিনতে এখন ব্যাস্ত তারা। দেশের সকল পশু হাটের মত নাটোরের হাটগুলোও শুরু করেছে গরু ও ছাগল বেঁচা ও কেনা। তবে উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পশু হাট নাটোরের তেবাড়িয়া হাটেও গত রেবাবার পশুর আমাদানী ছিল কম। কিছু পশু কনো বেচা হলেও ক্রেতা ও বিক্রেতা কেউ ই সন্তষ্ট নয়।তাদের অভিযোগ সরকার নির্ধারিত হাসিলের চেয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে বেশী টাকা আদায় করা হচ্ছে ।

সরজমিনে উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পশু হাট নাটোরের তেবারিয়া হাট ঘুরে দেখা যায় সেখানে গরু ছাগল, ভেড়া ও মহিষ নিযে এসেছে বিক্রেতারা। প্রতিবারের মত এবারও রবিবারের তেবারিয়ায় পশুর আমদানী ছিল কম। বেচা কনো ও হয়েছে কম। তবে ক্রেতারা বলছেন হাটে পশুর দাম বেশী। বিক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা । যে দামে গরু কিনেছেন বা লালন পালনে ব্যয় হয়েছে ক্রেতারা যে দাম বলছেন তা দিয়ে তাদের পোষাবেনা। শরিফ নামে একজন গুর বিক্রেতা জানালেন তিনি ৫টি গরু নিয়ে এসেছিলেন। একটি গরু বিক্রি করতে পারেননি। ক্রেতারা ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা দাম বলছেন। কিন্তু ওই দামে তিনি কিনতেও পারেননি। তাকে বচতে হলে ১লাখ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা র নিচে বেঁচতে পারবেন না। পাশেই রইচ নামে একজন গরু চাষি জানালেন, তিনি বাড়িতেই কোরবানীর জন্য কয়েকটি গরু মোটাতাজ করেছেন। কৈল ভুষি শ্রম সহ যে খরচ করেছেন এবং ক্রেতারা যা দাম বলছেন তাতে তার লোকসান হবে। ছাগলের হাট ঘুরে দেখা যায় কিছু ছাগল ১৫ ষোল হাজার টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। কিছু বিক্র হয়েছে তারও কম দামে। তবে বড় ছাগল বিক্রি হয়নি একটিও। ছাগল ব্যবসায়ি আনিসুল জানান, তিনি ২০ থেকে ২৭ হাজার টাকা করে কয়েকটি ছাগল কিনে হাটে নিয়ে এসেছিলেন। সাথে রয়েছে পরিবহন ব্যয়। ক্রেতারা যে দাম বলছেন তাতে তার রোকসান হবে। গরু ক্রেতা সুমন জানান, তিনি কে থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে একটি গরু কেনার জন্য হাটে এেসছিলেন। কিন্তু দাম ও পছন্দ না হওয়ায় তিনি গরু কিনতে পারেননি। তবে হাটে আগত অনেকেই জানালেন, যেহেতু কোরবানীর কয়েকদিন সময় রয়েছে। শহরের মানুষেরা গরু বা ছাগল কিনে বাড়িতে রাখতে পারেন না। একারণে খামারে বা যারা গরু মোটাতাজা করেন অনেকেই গরু কিনে তাদের কাছেই রেখে কোরবানীর আগে নিয়ে অআসবেন এমন গরু কিনে ফেলছেন। অথবা শেষ হাটে দাম কমবেশী যাই হোক কিনে ফেলবেন। মির্জ্জা আনাস নামে একজন ক্রেতা জানান, গরুর দাম সাইজের তুলনায় একটু বেশীই মনে হচ্ছে। ফলে ক্রেতারা দেখে শুনেই গরু বা ছাগল কিনতে চান। সামনে আরো হাট রয়েছে । দেখা যাক কি হয়। হাটের ইজারাদাররা জানালেন, আগামি হাটে পশু আমাদানী বেশী হবে ক্রেতাও বেশী আসবেন। অতিতেও তাই দেখা গেছে।
তবে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই অভিযোগ করছেন হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অপরদিকে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকেই সরকার নর্ধিারিত টাকার চেয়ে হাসিল বাবাদ বেশী টাকা নেওয়া হচ্ছে। ৬’শ টাকা ক্রেতা ও বিক্রেতার একশ টাকার পরিবের্থ ইচ্ছামাফিক হাসিল বাবাদ টাকা আদায় করছেন। ৬২ হাজার টাকা দিয়ে ছোট গরুর একজন ক্রেতা জানান তাকে এক হাজার টাকা এবং ব্রিক্রেতাকে ২’শ টাকা দিতে হয়েছে। এটা অনেক বেশী। অন্যান্য গরু ও ছাহগল ব্যবসায়ি একই অভিযোগ করে বলেন, হাসিল বাবাদ প্রায় ডাবল টাকা অঅদায় করা হচ্ছে। এতে করে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
হাটের ইজারাদার মোহাম্মাদ টিপু জানান, ক্রেতারাদের এ অভিযোগ ঠিক নয়। তারা গরু প্রতি ৮শ টাকা করে হাসিল বাবদ টাকা নিচে।চন। কিন্তু এ প্রতিবেদক দে থেকে বেমী টাকার ও হাসিল দেখেছেন। তবে তিনি বলেন, এই হাটে বেচা কেনা কম হলেও আগামি হাটগুলোতে পশুর আমাদানী ও ক্রেতা বিক্রেতার ভীড় বাড়বে।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিন সুলতানা নেলী জানান, পশু ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জণ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া জাল টাকা শনাক্তে মেশিন নিয়ে পুলিশ ক্যাম্প খোলা হয়েছে। প্রাণি সম্পাদ বিভাগের একটি স্টল ও দেখা যায়। তারা জানান, হঠাৎ করে কোন পশু অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা চিকিৎসা দিচ্ছেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
COPYRIGHT 2023 sangbadshoily, ALL RIGHT RESERVED
Site Customized By NewsTech.Com