স্টাফ রিপোর্টার
নাটোর সদরের কাফুরিয়া থেকে অপহৃত এক গৃহবধুকে ভারতে পাচারের সময় সাতক্ষীরা জেলায় সীমান্তবর্তী সোনাবাড়িয়া থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব।এ সময় অপহরণ ও পাচারে জড়িত শাজাহান আলী(৩০)ও কবির হোসেন(৩৮) নামে দুইজনকে গ্রোফতার করা হয়েছে।তারা যশোরের মণিরামপুর মশ্বিমনগর ও শ্যামপুরের বাসিন্দা এবং সম্পর্কে শালা-দুলাভাই।এদের মধ্যে শাজাহান ভারত ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক।সে একজন পেশাদার নারী পাচারকারি। আ
জ মঙ্গলবার(১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান সিপিসি নাটোর-২ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর আশিকুর রহমান। মেজর আশিকুর রহমান জানান, প্রায় ৭ বছর আগে সদর উপজেলার এক যুবকের সাথে বিয়ে হয় ভিকটিম নারীর।গত দুই মাস আগে মোবাইলের মাধ্যমে আপহরণকারী শাজাহানের সাথে মোবাইলে কথাবার্তার সূত্র ধরে পরিচয় হয় ওই গৃহবধূর।শাজাহান গৃহবধূকে চাকরিসজ বিভিন্ন প্রলোভন দেখান।এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠলে শাজাহান তাকে অপহরণ ও ভারতে পাচারের পরিকল্পনা করেন।এরই ধারাবাহিকতায় ভিকটিম গৃহবধুকে বিয়ে করার কথা বলে শাজাহান ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে কাফুরিয়া ইউনিয়নের জালালাবাদ বাজার থেকে সিএনজিযোগে তুলে নিয়ে যান।এ ঘটনায় ওই দিন রাতে গৃহবধূর স্বামী নাটোর সদর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।এরপর প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাব তাদের অবস্থান সনাক্ত করে।পরে র্যাব-৬ সদস্যদের সহযোগিতায় কলারোয়া সীমান্তবর্তী সোনাবাড়িয়া থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। মেজর আশিক আরো জানান, শাজাহান ভারত ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক।সে একজন পেশাদার নারী পাচারকারি।ছোটবেলায় তার মা তাকে নিয়ে ভারত চলে যান।গত ৬ বছর আগে সে পুনরায় বাংলাদেশে আসে এবং যশোরের মণিরামপুরে তার বাবা সোবাহান আলীর সাথো বসবাস শুরু করে।সে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মেয়েদের টার্গেট করে ও ভারতে পাচার করে মোটা অঙ্কের টাকা রোজগার করে।এ কাজে তাকে বোন জামাই কবির হোসেনসহ আরো অনেকে সহায়তা করে।তাদের গ্রেফতারের পর নাটোর সদর থানায় ও গৃহবধূকে স্বামীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।