স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা থেকে জশাহী গামী একটি বাসে ডাকাতি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলামকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতরাতেই নাাটোরের পুলিশ সুপার তাকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন। তবে বাস ডাাকাতিরর ঘটনায় তাকে প্রতাহার করা হয়েেেছ কিনা জানাতে চাইলে নাটোরের পুলিশ সুুপাার আমজাদ হোসাইন জানান, প্রশাসনিক কারণেই তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নাটোরের পুলিশ সুুপার আমজাদ হোসাাইন জানান, গতরাতেই তিন বড়াইগ্রাম থানার ওসিকে প্রত্যাহাার করে জেলা পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেন। তবে পুলিশ সুপার অফিস সুত্রে জানা যায়, পুুিিলশ সুপারের নিেের্র্দশেশর প্রেক্ষিতে শুক্রবার ছুটির িিদনেও তােেক প্রত্যাহার করার পত্র প্রেরন করা হয়েছে। পত্রে বলা হয় করে পত্র পাওয়া মাাত্র ওসির দায়িত্ব হস্তান্তর করে তাকে জেরা পুুলিশশ সদর দপ্তরে রিপোার্র্ট করতে বলা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুুক বড়াইগ্রিাম থানার ্একেজন কর্মকর্র্তা বলেন , ওসি স্যারকে ক্লেরাাজ করার কথা শুনেছি। সন্ধার পরে তিনি দায়িত্ব হস্ততানন্তর করেছেন।
জানা যায়, গত ১৭ জুলাই গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ একটি বাসে চন্দ্রা এলাকায় কযেকজন যাত্রীকে তোলা হয়। রাত দেড়টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন হাইটেক সিটি পার্ক সংলগ্ন খাড়াজোড়া ফ্লাইওভার ব্রিজ অতিক্রম করার ৫ থেকে ৬ মিনিট পর হঠাৎ বাসে ৮/৯ জন ডাকাত একসঙ্গে দাঁড়িয়ে যায় এবং ধারালো চাকু ও চাপাতি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে সবাইকে চুপ থাকতে বলে। এর মধ্যে তিনজন বাসটির ড্রাইভারের গলায় ধারালো চাকু ধরে চালকের আসনের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
এক পর্যায়ে তারা ধারালো চাকু ও চাপাতি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে গাড়িতে থাকা সব যাত্রীর কাছ থেকে টাকা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার, রুপা ছিনিয়ে নিতে থাকে। এ সময় ২ থেকে ৩ জন ডাকাত গাড়িতে থাকা অজ্ঞাতনামা নারী যাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে। পরে ডাকাতরা প্রায় ৩ ঘণ্টা গাজীপুরের বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে সেখানে নামিয়ে দেয়।সেখানে বাসচালক, তাঁর সহকারী ও সুপারভাইজার গন্তব্যে না যেতে নানা টালবাহানা করতে থাকেন। তবে যাত্রীদের চাপের মুখে তাঁরা বাস ছাড়েন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে বাসটি যাত্রীদের চাপের মুখে বড়াইগ্রামে থানায় ঢোকানো হয়। কিন্তু বড়াইগ্রাম থাানা পুলিশ মাামলা না নিয়ে ঘটননাসস্থল যে থানাার আওতাায় সেখানে মাামলা করার পরামর্শ দেন। কিন্তু যাত্রীদের অনড় অবস্থানের কারণে তিনজন বাসের স্টাাফদের আটক করেন। পরে তাদের ৫৪ ধারায় সসনেন্দহভাজন ব্যক্তি হিসেবে আদালতে প্রেরন করেন। আদালত শুনানী শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাসের যাত্রীরা মৌখিকভাবে পুলিশকে ডাকাতি হওয়ার কথা বলেছেন। অনেক যাত্রীই রাস্তায় নেমে গেছেন। দুজন নারী যাত্রী এসেছিলেন। তাঁদের একজনের বাড়ি নাটোরের লালপুরে, আরেকজনের বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়ার দিকে। তাঁরা তাঁদের নির্যাতনের ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি। তাঁরা চলে গেছেন। তাঁদের মুঠোফোন নম্বরও তাঁর কাছে নেই।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিন নেলী বলেন,যেহেতু ঘটনাটি তাদের আওতার মধ্য্যে হয়নি এবং কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি সেকারণে সন্দেহভাজন ব্যক্তি হিসেবে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তিনি বলেন বিষয়টি মির্জাপুর থানাকে জানানো হয়েছে। তারা যৌথ ভাবে বাস ডাকাতির বিষয়টি তদন্ত করছেন। তবে অকুস্থল মির্জাপুর হওয়ায় ওই থানায় ডাকাতির মামলা হবে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় মামলা করেছেন বাসযাত্রী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ওমর আলী। মামলায় অজ্ঞাত ৮ থেকে ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।