নাটোরের চামড়া কেনার জন্য প্রস্তুত আড়ৎ ,ট্যানারী মালিকদের কাছে বকেয়া পরিশোধের দাবি

  • বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩
নাটোরের চামড়া কেনার জন্য প্রস্তুত আড়ৎ ,ট্যানারী মালিকদের কাছে বকেয়া পরিশোধের দাবি#েসংবাদ শৈলী

স্টাফ রিপোর্টার
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চামড়ার আরৎ নাটোর শহরের চকবৈদ্যনাথ এলাকার চামড়া ব্যবসায়ির ঈদ উল আজহার চামড়ার কেনার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এজন্য আড়ৎগুলো ধুয়ে মুছে পরিস্কার করাসহ চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার জন্য লবন সহ ান্যান্য সামগ্রী মজুত করেছেন তারা। ঈদেরদিন থেকেই ব্যস্ত হয়ে উঠবে এই এলাকার চামড়া ব্যবসায়িরা। তবে ব্যসায়িরা জানালেন রপ্তানী বাজার সংকোচন, বিশ্বমন্দা এবং দেশের আভ্যন্তরীন ভাবে ট্যানারী মালিকদের বকেয়া পরিশোধ না করায় নাটোরের চামড়া ব্যবসায়িরা রয়েছেন বিপাকে। তারপরেও তারা আশা করছেন দেশের প্রায় ৪০টি জেলা থেকে প্রায় ১৬ লাখ পিসি চামড়ার আমাদানী হব্ েনাটোর বাজারে।
সরজমিনে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের চক বৈদ্যনাথ চামড়ার আড়ৎগুলো ঘুরে দেখা যায় , তাদের ব্যস্ততা বেড়েছে। ঈদউল-আজহার দিন থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নাটোরে নিয়ে আসা হবে কাঁচা চামড়া। সেকারণে আড়তগুলোতে চলছে রং করা সহ পরিষ্কারর আর পরিচ্ছন্নতার কাজ। চামড়া ব্যবসায়ি আব্দুল হালিম সিদ্দকী জানান, গত বছরের পাওনা ট্যানারী মালিকরা পরিশোধ করেছেন। কিন্তু বয়ো রয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ কোটি টাকা। ফলে পূজী সংকটে ভুগছেন নাটোরের চামসড়া ব্যবসায়িরা। এ অবস্থার মধ্যেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নগদ টাকাতেই তারা চামড়া কিনবেন। কারণ নাটোরের চামড়ার আড়তের সুনাম তারা ধরে রাখতে চান।তবে লবনের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বৃদ্ধিসহ ্যাণান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধিতে তারা দুশ্চিন্তা গ্রস্থ। তিনি বলেন ,গত বছর সরকার ওয়েট বøু চামসড়া বিদেশে রপ্তানী করেছেন। আশা করি সরকার এ ভচল একই উদ্যোগ নিবেন। কারণ ওয়েট বøু চামড়া রপ্তানীর মাধ্যমে তারা চামড়ার ন্যায্য দাম কিছুটা হলেও নিশ্চিত করতে পারবেন। আরেক চামড়া ব্যবসায়ী আল আমিন জানান,বাংলাদেশের রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংকগুলো যথা সময়ে ট্যানারী মালিকদের ব্যাংক ঋণ দেয়। কিন্তু আড়ৎ বা চামড়া ব্যবসায়িদের কোন ঋন দেন না। ফলে পূজী সংকট রয়েছে চামড়া ব্যবসায়িদের। তিনি জানান, এ বছর কোরবনাীর সময়ে হঠাৎ করে লবন সহ কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়া করার মূল্য বেড়ে গিয়েছে । একারণে চামড়ার আরৎদাররা বিপাকে পড়েছেন। তিনি জানান, জেলার উত্তর ও দক্ষিানাঞ্চল থেকে প্রায় ৪০টি জেলার চামড়া নাটোরের আড়ৎগুলোতে আসে। এখান থেকেই ট্যানারী মালিক অথবা তাদের প্রতিনিধি চামড়া সংগ্রহ করেন। একারণে চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা।

চামড়া ব্যবসায়ি মঞ্জুরুল অঅলম হিরু জানান, ট্যানারী মালিকদের কাছে গত বছরের পাওনা বকেয়া নেই। তবে পূর্বের পাওনা বকেয়া রয়েছে। তিনি বলেন এসমস্ত টাকা পরিশোধ করা হলে নাটোরের আড়ৎগুলো ঘুরে দাড়াতে পারবে।
জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্র“পেরসাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন , চামড়া শিল্পে সমস্যা যা-ই হোক চামড়া কেনা-বেচার জন্য প্রস্তুত নাটোরের চামড়া ব্যবসায়ীরা। এবছর নাটোরে গুরু ছাগল ও অ্যন্যান্য জাতের চামড়া সহ প্রায় ১৬ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহের আশা করা হচ্ছে। তারা অঅশা করছেন ট্যানারী মালিকরা পূর্বের বকেয়া পরিশোধে উদ্যোগ নিবেন। তাহলে স্থানীয় ব্যবসায়িরা পূজী সংকটে পড়বে না। তবে যে কোন মূল্যে নাটোরের চামড়া ব্যবসায়িদের সুনাম ধরে রাখতে তারা প্রস্তুত । বিভিন্ন জেলা থেকে আসা চামড়া ব্যবসায়িরা যেন ন্যায্য মূল্য পায় সে বিষয়ে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সরকার নিধারিত মূল্যে চামড়া কেনা হবে কনিা জানতে চাইলে তিনি জানান, এটা ট্যানারী মালিক ও সরকারের মদ্যে দ্বিপাক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত আসবে। সে অনুযায়ী তারা চামড়া ক্রয় করবেন। ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
COPYRIGHT 2023 sangbadshoily, ALL RIGHT RESERVED
Site Customized By NewsTech.Com