স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের গুরুদাসপুরে রবিউল ইসলাম রবি (১৫) কে গলা কেটে হত্যার দায়ে ইব্রাহিম হোসেন (১৬)কে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছে আদালত। আজ রবিবার বেলা ১১ টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত ইব্রাহিম হোসেন গুরুদাসপুর উপজেলার রশিদপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর উপস্থিতে রায় ঘোষণা করা হয়। বাকি আসামিরা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় জেলা আদালতে তাদের বিচারকার্য্য সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান, নাটোর জজ আদালতের বিশেষ পিপি আব্দুল কাদের।
মামলার বিবরনী থেকে জানা যায়, ইব্রাহিম হোসেন একজন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবী। ইব্রাহিম বিভিন্ন সময় রবিউলকে মাদক সেবনের জন্য প্ররোচিত করত। রবিউল তাতে সাড়া না দিয়ে তার মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনের কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করে দিবে বলে জানায়। এঘটনায় ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল রাতে স্থানিয় জাহাঙ্গীরের দোকানের সামনে রবিউলকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে পার্শের চাকল বিলে পতিত জমিতে আগাছা দিয়ে ঢেকে রেখে ইব্রাহিম ও তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়। নিখোঁজ ছেলের সন্ধান পেতে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২ মে সকালে রবিউলের মরদেহ বিলে পড়ে আছে খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলের মৃতদেহ সনাক্ত করে ও পুলিশে খবর দেয় রবিউলের পিতা আজিজুল হক। এঘটনায় রবিউলের বাবা বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে একজনকে অজ্ঞাত উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় আসামি মারুফ ও ফাহাদকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন।
নাটোর জজ আদালতের বিশেষ এসপিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের মামলার জানান, অভিযুক্ত ইব্রাহিম অপ্রাপ্ত বয়স হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের তার বিচার পরিচালনা করা হয়। এমামলায় আসামী ইব্রাহিমকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। আর বাকি আসামি মারুফ ও ফাহাদের প্রাপ্ত বয়স হওয়ায় তাদের জেলা আদালতে বিচার সম্পন্ন করা হয়।