স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ভবনের ভেতরে ঢুকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ড্রাইভার মোঃ রুবেল হোসেনকে (২৭) চাইনিজ কুড়াল ও রামদা নিয়ে ধাওয়া করেছে দুর্বৃত্ত¡রা। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নলডাঙ্গা থানায় হত্যা চেষ্টা করার অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। রুবেল নাটোর সদর উপজেলার ফুলবাগান এলাকার মৃত আবুল বাসারের ছেলে। অন্যদিকে অভিযুক্ত আহসান হাবীব (২৮) উপজেলার পূর্ব মাধনগর গ্রামের আঃ হামিদের ছেলে ও নলডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলে জানা গেছে। তবে হাবীবের অপর সহযোগীর নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ইউএনও অফিস ও স্থানীয়রা জানান, হাবিব নামে এক ব্যক্তির সাথে ড্রাইভার রুবেলের ভাই খোকনের ব্যক্তিগত টাকা পাওনা নিয়ে সাথে বিরোধ ছিল। এরই সূত্র ধরে, মঙ্গলবার সকালে হাবিব ও তার সহযোগীর সাথে বাক-বিতন্ডা হয় রুবেলের। এসময় তারা মোটরসাইকেলে রুবেলে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং চাইনিজ কুড়াল ও রামদা নিয়ে রুবেলকে ধাওয়া করে। রুবেল প্রাণভয়ে পালিয়ে উপজেলা পরিষদ ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়লেও তারাও তার পেছনে পেছনে অস্ত্র হাতেই উপজেলা পরিষদে প্রবেশ করে। এসময় রুবেল ইউএনও’র কক্ষে প্রবেশ করলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। তবে এই ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে এই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
হামলার শিকার মোঃ রুবেল হোসেন জানান, আমার ভাই খোকন রেন্ট এ কারের ড্রাইভার। আহসান হাবীব আমার ভাইয়ের কার ভাড়া নিয়ে টাকা পরিশোধ করেননি। এনিয়ে আমার ভাইয়ের সাথে হাবীবের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে আমাকে মোটরসাইকেলে জোর করে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পালানোর চেষ্টা করলে তারা চাইনিজ কুড়াল ও রামদা নিয়ে আমাকে ধাওয়া করে।
অভিযুক্ত উপজেলা যুবলীগ নেতা আহসান হাবিবের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজিনা আক্তার জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকসহ সিনিয়র অফিসারদের অবহিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নলডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) আকবর আলী জানান, এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান জানান, পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে।