স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় এক ব্যক্তির ৬০ বছর কারাদন্ড ও ৪০ হাজার সটাকা জরিমানা ররায়য় ঘোষণা করেছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ( জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই সাজা প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত হাফিজুল ইসলাম ৩৫ নলডাঙ্গা উপজেলার বাঙ্গালখলসি গ্রামের ইমন আলীর ছেলে।
আদালত সুত্রে জানাযায়, দন্ড্প্রাপ্ত হাফিজুল ইসলাম প্রায় তার প্রতিবেশী মামলার ভিকটিম ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে স্কুলে যাতায়াতের সময় প্রায় উত্যক্ত করতো। ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাত্রি আনুমানিক ৮টার দিকে ভিকটিম (১৩) প্রকৃতির কাজ সারতে ঘরের বাহিরে বের হলে হাফিজুল তার মুখ চেপে ধরে দুই সহযোগী সিরাজ ও সিদ্দিকের সহযোগীতায় ভিকটিমকে অপহরণ করে। তারা ওই ভিকটিমকে যশোহরের বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় নিয়ে গিয়ে ভারতে পাচারের চেষ্টা করে। কিন্তু সীমান্ত রক্ষিদের কড়াকড়ি অবস্থানের কারনে ভিকটিমকে বাসযোগে ঢাকায় নিয়ে আসামীর পরিচিত জনৈক মিলনের বাড়িতে নেয়। সেখানে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষন করা হয়। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর পুনরায় ভিকমকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে যশোহরে নেয়া হয়। এসময় যশোহর থানার পুলিশভিকটিমকে উদ্ধার সহ হাফিজুলকে আটক করে। এঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে নলডাঙ্গা থানায় হাফিজুল,সিরাজ ও সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অপহরণ সহ শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে হাফিজুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র আদালতে জমা দেয়। পরে স্বাক্ষী প্রমান গ্রহণ শেষে বিচারক রোববার দুপুরে আসামী উল্লেখিত রায় ঘোষনা করেন।
আদালতের স্পেশাল পিপি আনিসুর রহমান জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন -২০০০ (সংশোধিত-২০০৩) এর দু’টি ধারায় ৯ (১) ধারায় আমসামী হাফিলকে যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং একই মামলার ৭ ধারায় আসামী হাফিজুলকে আবারো যাবজ্জীবন সহ ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক। জরিমানার টাকা ভিকটিম পাবে এবং হাফিজুলের সাজা একটার পর একটা কার্যকর হবে। সেই হিসেবে তাকে ৬০ বছর কারাভোগ করতে হবে।