স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের নলডাঙ্গায় পারিবারিক কলহ ও অশান্তিতে পৃথকস্থানে ট্রেনে নিচে ঝাঁপ দিয়ে মকলেছুর রহমান ও গলায় ফাঁস দিয়ে সেন্টু নামের দুই জন ব্যাক্তি আত্মহত্যা করেছেন। বৃস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার বীরকুৎসা কুচামাড়িয়া সেতুর কাছে মকলেছুর রহমান রাজশাহী হতে পারবর্তীপুরগামী তিতুমীর এ´প্রেস ট্রেনের নিছে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। অপরদিকে বৃস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার হলুদঘর গ্রামে শয়নঘরে সেন্টু গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
মৃত ব্যক্তি মকলেছুর রহমান (৫৫) উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের মৃত তাছের মোল্লার ছেলে,সেন্টু (৪৫) উপজেলার হলুদঘর সরদার পাড়া গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসীসূত্রে জানা যায়,বৃস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার দুর্ভলপুর গ্রামের মকলেছুর রহমান পারিবারিক অশান্তি কলহের জেরে ক্ষোভে কুচমাড়িয়া সেতুর কাছে রাজশাহী হতে পারবর্তীপুরগামী তিতুমীর এ´প্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।মকলেছুর রহমানের স্বজনদের দাবী,ছেলে অনলাইনে জুয়া খেলে লাখ লাখ টাকা হেরে যাওয়া ও ছেলের স্ত্রীর পারিবারিক কলহ মিমাংশা না হওয়ায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে অত্মহত্যা করেন।অপর দিকে উপজেলার হলুদঘর গ্রামের কৃষক সেন্টু পারিবারিক কলহ অশান্তিতে নিজ শয়নঘরে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দিয়ে অত্মহত্যা করেন।এলাকাবাসী বলছে কৃষক সেন্টুর স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের জেরে সেন্টু আত্মহত্যা করেছে।পুলিশ সেন্টুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন,কৃষক সেন্টুর ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর মর্গে পাঠানো হয়েছে।এব্যাপারে ইউডি মামলা হয়েছে।