স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের নলডাঙ্গায় এক প্রতিবন্ধীর স্ত্র্রীকে ধর্ষণের পরে প্রভাবশালীদের চাপে ও টাকার বিনিময়েয় মিমাংসা করতে বাধ্য করা হয় ধর্র্ষিতার পরিবারক্।ে বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় ৭দিন পরে ও্ই গৃহবধূ বাদী হয়ে শনিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্ত নলডাঙ্গা উপজেলার রামশাকাজিপুর গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৫) পলতাক রয়েছেন।
পুলিশ,দায়েরকৃত মামলা ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,গত ২১ জুন শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে নলডাঙ্গা উপজেলার রামশাকাজিপুর দক্ষিন পূর্বপাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধী এক কৃষকের স্ত্রী গরু ছাগলের জন্য বাড়ির পাশে কাশোবাড়িয়া মাঠে ভুট্রা ক্ষেতে ঘাস কাটতে যায়।এসময় প্রতিবেশি শফিকুল ইসলাম গৃহবধুকে একা পেয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।বিষয়টি প্রথমে জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঘটনাটি ধাপাচাপা দিতে থানায় মামলা করতে বাধাা দেয়। ঘটনার ৫ দিন পর বুধবার স্থানীয় মিলন নামের এক ব্যাক্তির বাড়িতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আপোস মিমাংসা করতে বাধ্য করেন।
পরে স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীরা ভুক্তভোগি গৃহবধুর বাড়িতে গেলে গৃহবধুর মেয়ে জামাই শাহীন আলম বলেন, এ বিষয়ে আপোস মিমাংসার কথা বলেন। তিনি বলেনআমরা থানায় মামলা করবো না এবং আপনাদের কাছে কিছুই বলবো না।তাছাড়া নলডাঙ্গা থানার ওসি স্থানীয় ওর্য়াডের এক গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে আমার শ্বশুরের সাথে মোবাইলে কথা বলেন।তিনিও (ওসি) বিয়য়টি প্রকাশ করতে নিষেধ করেন।
এরপর গত ২৮ জুন শনিবার নলডাঙ্গা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ধর্ষণের শিকার গৃহবধুকে ডেকে এনে নলডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলা রুজু করতে বলেন।নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ধর্ষণের শিকার গৃহবধুর মেয়ে জামাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন বলেন,গৃহবধুর স্বামীর সাথে আমার কোন কথা হয়নি। এ ঘটনায় মামলা হলে আসামী পালিয়ে যায়।আসামীকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।আজ রোববার ধর্ষণের শিকার গৃহবধুকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।#
নাটোরের বড়াইগ্রামে ৭ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা; মুয়াজ্জিন গ্রেফতার#ছবি সংগৃহিত#ছবি সংগৃহিত 