স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার দুর্লভপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আম গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে খাজুরা ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টুর বিরুদ্ধে।এ অভিযোগে গত বুধবার রাতে নলডাঙ্গা থানায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাসুদা খানম লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।এদিকে ওই ইউপি সদস্য মন্টুর বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ এনে ইউএনওসহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী।তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টু এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অভিযুক্ত নাম আমজাদ হোসেন মন্টু,তিনি উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের ২ নং ওর্য়াড সদস্য ও খাজুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক।
নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত বুধবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার দুর্লভপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক আম গাছ খাজুরা ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টুর নির্দেশে কয়েকজন যুবক কেটে ফেলে।পরে ভ্যানযোগে কর্তনকৃত আমগাছ করাত কলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী গাছ নিয়ে যেতে বাঁধা দেয় এবং বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন কে জানানো হয়।পরে দুর্ভলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাসুদা খানম ওই রাতেই ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টুরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগে বলা হয় ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টু ও দুই সহযোগি আনোয়ার এবং শামীম জোর করে বিদ্যালয়ের আম গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।একই অভিযোগ তুলে স্থানীয় এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য অভিযুক্ত আমজাদ হোসেন মন্টু এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে চলাচলের জন্য সড়ক রয়েছে।এই সড়কে একটি আম গাছ থাকায় আমাদের ২ নং ওর্য়াডের বাসিন্দারা ভ্যান,অটোরি´া নিয়ে চলাচল করতে সমস্যা পড়তে হয়।এ জন্য কয়েকজন অটোচালক গাছটি কেটে ফেলে।এখানে আমি কাউকে নির্দেশ দেয়নি। দুর্লভপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাসুদা খানম বলেন,আমি ওই দিন রাত ৮টার দিকে খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের এসে দেখি বিদ্যালয়ের একটি আম গাছ কেটে ফেলা রাখা হয়েছে। সেখানে গাছ কাটার করাত,কৃড়াল পড়ে ছিল।পরে ইউএনও স্যার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্যারের নির্দেশে ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন মন্টুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন,দুর্লভপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।তবে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আমাকে ফোন করে বলেন,আমরা দুই পক্ষ মিমাংশা করেছি।তাই এ ঘটনার বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সানাউল্লাহ বলেন,গাছ কাটার বিষয়ে নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে প্রধান শিক্ষিকা। থানা পুলিশ তদন্তও করেছে।এ ঘটনা আপোস মিমাংশা করার সুযোগ নাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান আকরামুল হক বলেন,গাছ কাটার বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছে প্রধান শিক্ষিকা।থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে।