স্টাফ রিপোর্টার
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জঙ্গি আস্তানায় গ্রেফতারকৃতদের মাঝে মাইশা ইসলামের বাড়ি নাটোর সদর উপজেলার পাবনাপাড়া চাঁদপুর এলাকায়। মাইশার বাবা ও চাচাকে ২ বছর আগে তাদের বাড়ি থেকে বিস্ফোরক সহ বগুড়া ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছিলো। এলাকাবাসীর দাবি তার পরিবার সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত।
‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামে একটি নতুন জঙ্গি দলের সদস্য মাইশার পিতা সাইদুল ইসলাম দুলাল ও চাচা ফজলুর রহমান দুইজনই জেএমবির সক্রিয় সদস্য। তাদের ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি নিজ বাড়ি থেকে বিস্ফোরকসহ গ্রেফতার করেছিলো বগুড়া ডিবি পুলিশ। মাইশার চাচা ফজলুর রহমান কারাগারে থাকলেও মাইশার পিতা সাইদুল ইসলাম জামিনে আছেন। তবে তিনি বাড়িতে অবস্থান করছেন না। তাদের বাড়িতেও বর্তমানে কারও সাড়া শব্দ মেলেনি। স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২ মাস আগে স্থানীয় মসজিদে সোহেল তানজীম রানা নামে একজনের সাথে মাইশার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মাইশার স্বামী সোহল তানজীম রানাকে ডাক্তার হিসাবে পরিচয় দিয়ে ঢাকার বাসিন্দা বলে দাবি করেছিলো সে। এরপর আর তাদের এলাকায় দেখা যায়নি। মৌলভীবাজারে মাইশা গ্রেফতার হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। সরকার বিরোধী এই পরিবার এলাকাবাসীদের সাথে মিশে না। জঙ্গিবাদ জড়িয়ে পড়ায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে এলাকাবাসী।
এদিকে এক তথ্য মতে জানা যায়, ২০১৮ সালে ১৩ মার্চ নাটোরের দিঘাপতিয়ায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে দুটি বাড়িতে পুলিশের অভিযান চালিয়ে চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। সেখান থেকে ককটেল, জিহাদি বই ও তিনটি চাপাতি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওই দিন মঙ্গলবার সকাল পৌনে ছয়টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়। এ সময় ভিতরে থাকা জঙ্গী সদস্যদের বাহিরে এসে আত্মসমর্পণ আহ্বান জানায় পুলিশ।এসময় আত্মসমর্পণ করেন এক সন্দেহভাজন জঙ্গি। পরে সেখান থেকে তিনজনকে আটক করা হয়।
এরা হলেন, নাটোরের বাগাতিপাড়ার জামনগর পশ্চিমপাড়া মহল্লার মৃত শুকুর আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম,চাপাপুকুর উত্তরপাড়া মহল্লার ভিকু মন্ডলের ছেলে ফজলুর রহমান,সিংড়ার আড়কান্দি পশ্চিমপাড়া মহল্লার ইউসুফ আলী মিয়ার ছেলে আনিসুর রহমান আনিস ও নলডাঙ্গা খোলাবাড়িয়া গ্রামের ফজলার রহমানের ছেলে জাকির হোসেন জাকির।
এছারাও ২০০৯ সালে (জুন ১৬)নাটোরের আদালত চত্বর থেকে মঙ্গলবার রাজু আহম্মেদ (২৮) নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এর এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজু ২০০৫ সালে সিংড়ার বামিহাল পুলিশ ফাঁড়ির অস্ত্র লুট ও তিন আনসার সদস্য খুনের মামলার আসামি ছিল। অন্য একটি মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে আটক হয়। বলে জানান, সিংড়ার কালিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন উপ-পরিদর্শক গোলাম সাকলাইন। রাজু ২০০৬ সালে জেএমবির লিফলেট বিতরণকালে রাজুকে একবার আটক করা হয়েছিল। এবং সে ফাঁসি হওয়া জেএমবি নেতা আব্দুল আওয়ালের ঘনিষ্ট সহযোগী ছিলেন ।
নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মাইশার পরিবারের উপর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।