স্টাফ রিপোর্টার
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা ছাত্রলীগ। ২৬ জুলাই বুধবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় কান্দিভিটা থেকে ছাত্রলীগের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নাটোর প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজের সভাপতিত্বে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি, সহ-সভাপতি ও সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট মালেক শেখ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা বিউটি বেগম প্রমূখ।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেনর সভাপতিত্বে এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তারা জানান, গত ১৬ মে জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর নান্নু শেখ এর উপর জঘন্যতম হামলা এবং কুপিয়ে জখম করার মধ্য দিয়ে এই সন্ত্রাস শুরু হয়। সন্ত্রাসীরা দ্রুত জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসে আবারো আস্ফালন করতে থাকে। এই বিরোধের জেরেই আবারও সাবেক যুবলীগ নেতা মিঠুন আলীর উপরে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। নেতৃবৃন্দ সকল সহিংসতাল বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন। সেই সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের প্রতি সকল সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।তারা বলেন যে সময় হামলার ঘটনা ঘটে তখন শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে পৌর মৎসজীবী লীগ কমিটি গঠনের বৈটক করছিলেন। আওয়ামীলীগ অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ তার প্রমাণ দিবে। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একটি মহলের ইন্ধনে পুলিশ এই মামলা গ্রহণ করেছে। এই নোংরা ঘটনার সাথে সাথে অভিযুক্ত অনেকেরই কোন সম্পর্ক নেই।
বক্তারা এই সকল ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের না করে জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রীবৃন্দের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ায় তীব্র নিন্দা জানান এবং । অবিলম্বে নেতৃবৃন্দ এই সকল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।