স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরে আসামীর অনুরোধে জব্দকৃত আলামত ৭টি হেরোইনের প্যাকেট খুলে কালো রংয়ের আচার সদৃশ বস্তু পাওয়া যায়। এ বিষয়ে নাটোর জজ কোর্টের পিপি বলেছেন এগুলো আচার এমন কথা বলা যাবেনা। কারণ মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলেছেন দীর্ঘদিন পলিথিনে হেরাইন থাকলে সেটা কালো রংয়ের হতে পারে। সুতরাং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্য এবং জব্দকৃত আলামত পরীক্ষা না করেই বলা যাবে না এগুলো কি। এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী ২৫ জুলাই সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শরীফ উদ্দিন।
আদালত সুত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে এক কেজি ২৯০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করেছিল র্যাব। এ ঘটনায় নাটোর সদর থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করে র্যাব–৫। মঙ্গলবার মামলার যুক্তিতর্কের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু যুক্তিতর্ক শুরুর আগে জব্দকৃত আলামত খুলে দেখা যায়, সেগুলো আচারের মত দেখতে কালো রংয়ের প্যাকেট!
নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর নাটোর সদর উপজেলার একডালা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশিকালে মাসুম নামে এক যুবককে আটক করে র্যাব–৫। এ সময় মাসুমের কাছে ৭টি প্যাকেটে ১ কেজি ২৯০ গ্রাম হেরোইন সদৃশ পাউডার পাওয়া যায়। তিনি আরো বলেন , র্যাবের ডিএডি রাজিব বাহাদুর বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় মাদক আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় মাসুম বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ মামলায় এরই মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মামলার যুক্তিতর্কের দিন ধার্য ছিল। তার আগে আসামির অনুরোধে সিলগালা করা আলামতের প্যাকেট খোলা হয়। কিন্তু আলামতের প্যাকেট খুলে আচার সদৃশ বস্তু পাওয়া যায়।
তিনি বলেন এগুলো আচার এমন কথা বলা যাবেনা। কারণ আমি মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা বলেছেন দীর্ঘদিন পলিথিনে হেরাইন থাকলে সেটা কালো রংয়ের হতে পারে। সুতরাং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্য এবং জব্দকৃত আলামত পরীক্ষা না করেই বলা যাবে না এগুলো কি।
আদালতের পিপি জানান, যুক্তিতর্কের আগের দিন জেলা জজ কারাগার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এ সময় মামলার আসামি মাসুম জজ সাহেবকে প্যাকেটগুলো খুলে দেখার অনুরোধ জানান। মঙ্গলবার আদালতে যুক্তিতর্কের দিন জজের নির্দেশে জব্দকৃত প্যাকেটগুলো খুলে দেখা হয়।