স্টাফ রিপোর্টার

ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলীম জীবন হত্যা মামলার রায়ে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছেন রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালত।অভিযোগ প্রমান না হওয়ায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের আপন দুই ভাই এ মামলার আরো দুই অভিযুক্ত আসামী ফয়শাল ফটিক ও আলীম আল রাজী কে খালাস দিয়েছে আদালত। বৃস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
নিহত ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলীম জীবন (২২) নলডাঙ্গা উপজেলার রামশাকাজিপুর গ্রামের ফরহাদ শাহের ছেলে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এস এম ফিরোজের ভাতিজা।

নিহত ছাত্র্র্রলীগ নেতা জীবন। ফাইল ছবি

যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামান আসাদ (৫২) নলডাঙ্গা উপজেলার রামশাকাজিপুর গ্রামের আনছার শাহের ছেলে ও নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা ছিলেন।খালাসপ্রাপ্ত দুই আসামী ফয়শাল ফটিক ও আলীম আল রাজী আসাদের আপন ভাই।
রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালত সূত্রে জানা যায়,বৃস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলীম জীবন হত্যা মামলার রায়ে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছেন।অভিযোগ প্রমান না হওয়ায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের আপন দুই ভাই এ মামলার আরো দুই অভিযুক্ত আসামী ফয়শাল ফটিক ও আলীম আল রাজী কে খালাস দিয়েছে আদালত। রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।তবে এ মামলার বাদী জাহানারা বেগম বলেন,আমার ছেলের হত্যাকারী আসাদুজ্জামান আসাদের ফাঁসির রায় প্রত্যাশা করেছিলাম।কিন্ত তা হয়নি।আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
আদালতের নথি সূত্রে জানা যায়,২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নলডাঙ্গা উপজেলার রামশাকাজিপুর আমতলী বাজারে জামিউল আলীম জীবনকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পেটান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, তার ২ ভাই। এ সময় বাধা দেওয়ায় জীবনের বাবা ফরহাদ হোসেনকেও পেটানো হয়।স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।জীবনের আহত বাবা ফরহাদ হোসেন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছিল।কিন্ত জামিউল আলীম জীবন সংকটাপন্ন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করেন। ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টম্বর শুক্রবার দুপুর ২ টা ২০ মিনিটে জামিউল আলীম জীবনের মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘোষণা দেন হাসপাতাল কৃর্তপক্ষ ও নলডাঙ্গা থানা পুলিশ।এ ঘটনায় বাদী হয়ে ২০ সেপ্টম্বর নিহতের মা জাহানারা বেগম নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার দুই ভাই ফয়সাল ফটিক এবং আলীম আল রাজী কে আসামী করে নলডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন।