স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পষিদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলীকে (৫৫) শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকালে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। চাঁদাবাজি ও জেরপূর্বক বিদ্যালয়ের মাঠ দখলের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে আইয়ুব চেয়ারম্যানের কঠোর শাস্তির দাবিতে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফিরোজ আহমেদের নেতৃত্বে শনিবার বেলা ১১টায় নাজিরপুর বাজার এলাকায় বিক্ষোভ শেষে পথসভা ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
মামলার বাদী ফিরোজ আলী দাবি করে বলেন, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর আমলি আদালতে মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ আহমেদ। আইয়ুব আলী ও তার লোকজন ফিরোজ আহমেদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা না পেয়ে মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গা দখল নিয়ে কাঁটাতারের বেড়া দেন।
পরিস্থিতির কারণে সেসময় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করতে না পারলেও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসনের পক্ষে কাঁটা তারের বেড়াটি উচ্ছেদ হলেও তাঁর কাছে চাঁদার টাকা দাবি করা হচ্ছিল। পরিস্থিতি বুঝে বৃহষ্পতিবার আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি আমলে এনে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। শুক্রবার গুরুদাসপুর থানায় আদালতের মামলাটি রেকর্ড করে চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীকে গ্রেপ্তার করেন।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, নাজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফিরোজ আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে চেয়য়াম্যান আেইয়য়ুুব আললী ও হাাসান আলীকে গ্রেপ্তার করে াাধালতের মাধ্যমে জেল হাাজতে প্রেরন করা হযেছে।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর ভাই নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তার ভাই কোানন চাাঁদাবাজী করেননি। পরিবর্তিলতত অবস্থার সুুযোগ নিয়েয় তাকে হয়রানী করার জন্য এ ধরণের মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
এদিকে আইয়ুব চেয়ারম্যানের কঠোর শাস্তির দাবিতে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফিরোজ আহমেদের নেতৃত্বে শনিবার বেলা ১১টায় নাজিরপুর বাজার এলাকায় বিক্ষোভ শেষে পথসভা ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। পথসভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি তাইজুল ইসলাম। সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফিরোজ আহমেদ, নাজিরপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহমান ও সাবেক সভাপতি ফেরদৌস রহমান।
বক্তারা বলেন- আইয়ুব চেয়ারম্যান দখলবাজ, চোর-ডাকাত ও মাদকের গডফাদার। এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন, নন্দকুজা নদী থেকে বালু উত্তোলন সহ এলাকায় আওয়ামী সন্ত্রাসের নৈরাজ্য কায়েম করেছেন। তিনি এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার কঠোর শাস্তি দাবি করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।