স্টাফ রিপোর্টার
বর্গা চাষী আশরাফ সরদার (৫২)। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করেন । প্রতিবেশী সাইদুল ইসলামের ১০ বিঘা জমি বর্গা নিয়েছেন তিনি। সেই বর্গার ২ লাখ টাকা সাইদুলের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা আশরাফ সরদারের। রবিবার রাত ১১ টার দিকে টাকা দিতে যাওয়ার সময় সাইদুলের ভাই সালামত ও তার ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে রাফু মহুরী তার বাহিনী নিয়ে ওৎ পেতে ছিলো খুবজীপুর লোহার ব্রিজের নিচে। আশরাফ সরদার সেখানে পৌছানো মাত্রই তার ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে যখম করে রাফু বাহিনী। সাইদুল তার সন্ত্রাসী ভাতিজা রাফু মহুরীর ভয়ে তাকে জমি বর্গা না দিয়ে প্রতিবেশী শ্রীপুর গ্রামের আশরাফ সরদারের কাছে বর্গা দেন। সেই ক্ষোভে রাফু আশরাফ সরদারের ওপর হামলা চালিয়ে ওই টাকা ছিনিয়ে নেয়। রাফু উপজেলার খুবজীপুর গ্রামের সালামত আলীর ছেলে ও হামলার শিকার আশরাফ শ্রীপুর গ্রামের সলেমান সরদারের ছেলে।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী শিরিনা ও প্রতিবেশী মামুন জানায়, রাফু সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি। তাকে জমি বর্গা দিলে তার চাচা সাইদুলকে ঠিকঠাক টাকা দিতেন না। তাই তাকে জমি না দিয়ে আশরাফ সরদারকে জমি বর্গা দেন সাইদুল।
জানাযায়, আশরাফের দুই হাটুর উপরে এলোপাতারি কোপানোর ফলে পায়ের একটি রগ কেটে যাওয়া তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অনেক চেষ্টার ফলে সোমবার বিকেলে আশরাফের রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে পঙ্গু হওয়ার আশংকা রয়েছে তাঁর।
এদিকে আশরাফের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর মেয়ে আতিয়া খাতুন।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের মধ্যে সালামত নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের তৎপরতা চলছে।