স্টাফ রিপোর্টার
নােেটারে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে প্রায় ২০ হাজার খামারে প্রস্তুত ৫ লাখ ১৪ হাজার কোরবানির পশু। যার মূল্য আনুমানিক প্রায়২হাজার কোটি টাকা । জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে ২ লাখ ৪০হাজার পশু। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত এসব কোরবানির পশু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করার প্রস্তুতি নিয়েছেন খামারিরা। তবে বড় জাতের গরু সরাসরি খাামার থেকেই বিক্রি হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবছর প্রায় ২০ হাজার খামারি মোট ৫ লাখ ১৪ হাজার ২১৫টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত করেছেন। এরমধ্যে গরু ১ লাখ ১৩ হাজার ৩১৭টি, মহিষ ৭ হাজার ৯২৮টি, ছাগল ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৭টি, ভেড়া ৩৮ হাজার ৪৫১টি এবং দুম্বা বা অন্যান্য জাতেতর পশু ২৯টি। জেলায় এবছর কোরবানির পশুর চাহিদা ২ লাখ ৭৩ হাজার ২০৫টি। অর্থাৎ উদ্বৃত্ত থাকছে ২ লাখ ৪০ হাজার ১০টি।
জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর জানায় জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার থেকে বিরত থেকে নিরাপদ উপায়ে পশু হৃষ্ট-পুষ্টকরণে জেলায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৯৫ জন খামারিকে প্রশিক্ষণ প্রদান ও ১১৪টি উঠান বৈঠক করেছে। নাটোর সদর উপজেলার ডালসড়ক এলাকার আদর্শ খামারি সব চেয়ে বড় গরু খামারের মালিক রেকাত আলী বলেন, তার খামারের গরুর ক্রেতা প্রায় সকলেই রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য এলাকার বাসিন্দা।বেশীরভাগ গরু তার খামার থেকেই বিক্রি হয়। তবে নাটোরের খামারিরা ঢাকার কচুক্ষেত, গাবতলী, মীরপুর, শাহজাহানপুর, বারিধারা, হাজারীবাগ, বাড্ডা, মৌচাক, ক্যান্টনমেন্ট হাট, তেজগাঁও, রামপুরা ইত্যাদি হাটে সচরাচর গিয়ে থাকেন। ঢাকা ছাড়াও রাজশাহী, পাবনা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় গিয়েও তারা গরু বিক্রি করেন।
নাটোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. জুলফিকার মো. আখতার হোসেন বলেন, এ বছর জেলায় দুই হাজার কোটি টাকার কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে । ইতিমধ্যেই জেলার ২৬টি হাট এবং জেলার বাইরে পশু বিপণন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।তবে পুরোদমে শুরু হতে আরো তিন চারদিন লাগবে। নােেটারের পুলিশ সুপার আমজাদহোসাইন জানান, নিরাপদে গরু পরিবহন ও চাঁদাাবাজী রুখতে মহসড়ক ও হাটগুলোতে পুলিশের কার্যক্রম বৃদ্দি করা সহ সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করা হচ্ছে।
