স্টাফ রিপোর্টার
কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরই দেশের বড় বড় খামারগুলো তৈরি করে ছোট-বড় আকারের নানান জাতের গরু। তবে,শুধু বড় খামার গুলোই নয়,দেশের বিভিন্ন জায়গায় পারিবারিক খামারেও কোরবানীর ঈদকে কেন্দ্র করে গরু মোটাতাজা বা প্রস্তুত করা হয়। প্রতিবছরই আলোচনায় আসে সবচেয়ে বড় আকারের গরুগুলোর নাম। এবার নাটোরের নলডাঙ্গার মোঃ জামরুল ইসলামের এমন ৩টি বিশাল গরু প্রস্তুত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। গরু ৩ টির নাম দিয়েছেন,বাহাদুর- সম্রাট ও যুবরাজ।
প্রচলিত পদ্ধতির পরিমাপে গরু ৩টির বর্তমান ওজন বাহাদুর প্রায় ২২মণ,সম্রাট প্রায় ১৭ মণ ও যুবরাজ ১৭ মন। ইতি মধ্যেই বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন আসছেন,বাহাদুর-সম্রাট ও যুবরাজকে দেখতে।
বাহাদুর-সম্রাট ও যুবরাজকে দেখতে নাটোরের নলডাঙ্গা মাধবপুর গ্রামে যান এই প্রতিবেদক। সেখানে বাহাদুর- সম্রাট ও যুবরাজকে শুরু থেকে এই পর্যন্ত লালন-পালন করা মাধবপুর
গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে জামরুল ইসলামের সাথে কথা হয় । তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমি ও আমার পরিবারের সবাই গরু ৩টিকে সন্তানের মতই বড় করেছি। অনেক যত্ন করে আমরা বড় করেছি। বাহাদুরের বর্তমান বয়স সাড়ে ৩ বছর,সম্রাটের ৩ বছর ও যুবরাজের বয়স ৩ বছর।
জামরুল ইসলাম বলেন,বাহাদুর,সম্রাট ও যুবরাজকে আমরা অনেক যত্ন ও ভালবাসা দিয়ে বড় করেছি। তাই দাম চাওয়াটা অনেক কষ্ট সাধ্য। তারপরও প্রাথমিকভাবে আমরা একটি দাম প্রকাশ করেছি। বাহাদুর ৪ লক্ষ,সম্রাটের জন্য ৩ লক্ষ ও যুবরাজের জন্য ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা দাম চেয়েছি। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের সাথে তাদের আলোচনার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরু ৩টি স্বাভাবিক খাবার খাইয়ে বড় করেছেন বলে জানান জামরুল। প্রতিদিন খৈল,ভূষি,কাঁচা ঘাস বেশি খাওয়ানো হয় বাহাদুর-সম্রাট ও যুবরাজকে। ঘরের মধ্যে ফ্যান চালাতে হয় সব সময় ও গোসল করাতে হয়।
নলডাঙ্গা উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃখন্দকার সাগর আহম্মেদ বলেন,উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে খামারিদের সবসময় সহযোগিতা করা হচ্ছে।