সংবাদ শৈলী ডেস্ক
সম্প্রতি কোরআন পোড়ানোর ঘটনার পর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার ও অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের দেশে প্রবেশে বাধা দিতে ডেনমার্ক সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কঠোর করছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। এর আগে চলতি সপ্তাহে সুইডেনও অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ডেনমার্ক ও সুইডেনে ইসলামবিরোধী কর্মীরা মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থের বেশ কয়েকটি কপি পোড়ানো ও ক্ষতিগ্রস্থ করার ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা করছে। এসব ঘটনা মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভ উসকে দিয়েছে এবং দুই দেশের সরকারের প্রতি এই ধরনের কাজ নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে।
ড্যানিশ বিচার মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কর্তৃপক্ষ আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নির্দিষ্ট ও বর্তমান হুমকির প্রতিক্রিয়া জানাতে ডেনমার্কে কারা প্রবেশ করছে তার ওপর এই সময় নজর বাড়ানো প্রয়োজন।’
পুলিশ জানিয়েছে, কোপেনহেগেন বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের জন্য, এমনকি ইউরোপের অবাধে চলাচলের শেঙগেন এলাকায় তল্লাশির মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়াও সুইডেন থেকে ট্রেন বা গাড়িতে করে ডেনমার্কে যাওয়া ভ্রমণকারীদের আগের চেয়ে বেশি তল্লাশির মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে। পাশাপাশি জার্মানির সঙ্গে ডেনমার্কের দক্ষিণ সীমান্তে টহল বৃদ্ধি করা হবে।
কোরআন অবমাননা নিয়ে আরো খবর :
ডেনমার্কের অতি-ডানপন্থী কর্মীদের একটি ছোট দল গত সপ্তাহে কোরআনের অন্তত ১০টি কপি পুড়িয়ে দিয়ে বলেছে, তারা শুক্রবার দুটি বিক্ষোভে এবং সপ্তাহান্তে আরো তিনটি অনুষ্ঠানে আরো কোরআন পোড়ানোর পরিকল্পনা করছে। অন্যদিকে ড্যানিশ ও সুইডিশ সরকারগ কোরআন পোড়ানোর নিন্দা করেছে। এ ধরনের ঘটনা এড়াতে নতুন আইন চালুর কথা ভাবছে তারা। তবে দেশীয় সমালোচকরা বলছেন, এই ধরনের যেকোনো সিদ্ধান্ত তাদের সংবিধানে সুরক্ষিত বাক স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করবে।