এখনো জমে ওঠেনি নাটোরের পশুহাটএখনো জমে ওঠেনি নাটোরের পশুহাট#সংবাদ শৈলী


স্টাফ রিপোর্টার

আজহার আর মাত্র ১০ দিন বাকি। তবে এখনো জমে ওঠেনি উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পশুহাট নাটোরের তেবাড়িয়া হাট। রোববারও (২৫ মে) হাটে পশু আমদানি কম দেখা গেছে। যে সকল গরু উঠেছে তাা সােইজে ছোট ্ বড় ধরণের তেমন গরু হাটে আসেনি বলল্ইে চলে।
নাটোরের তেবারিয়া গরুর হাট ঘুরে দেখা যায়, সেখানে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। তবে পশু আমদানি কম। এজন্য বেচাকেনাও কম। ক্রেতারা বলছেন হাটে পশুর দাম বেশি। তবে বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতারা যে দাম বলছেন তাতে তাদের পোষাবে না।হাটে পাঁচটি গরু নিয়ে এসেছেন মো. সাদেক। তবে একটি গরুও বিক্রি করতে পারেননি। ক্রেতারা ৮০-৯০ হাজার টাকা দাম বলছেন। কিন্তু ওই দামে তিনি কিনতেও পারেননি বলে জানান।পাশে সাত্তার নামের একজন জানান, তিনি বাড়িতেই কোরবানির জন্য কয়েকটি গরু মোটাতাজ করেছেন। গরু লালন-পালনে যে পরিমাণ খরচ করেছেন তাতে ক্রেতারা যা দাম বলছেন তাতে তার লোকসান হবে।ছাগলের হাট ঘুরে দেখা যায়, কিছু ছাগল ১৫-১৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছু বিক্রি হয়েছে তারও কম দামে। তবে বড় ছাগল বিক্রি হয়নি একটিও। তাছাাড়া দেখাা যায়যয় এক লাখ ৮০ হাজাার টাকার উপরে কোন গনু বিক্র্রেতা বা ক্রেতা হােেট আেেসননি। তবে ক্রেতারা জানালেন হাাট নয় খামার থেকেই বেশী দামের গরু বিক্রি হেেচ্ছ।
ছাগল ব্যবসায়ী রহিদুল বলেন, তিনি ১৫-২৮ হাজার টাকা করে কয়েকটি ছাগল কিনে হাটে নিয়ে এসেছিলেন। সঙ্গে রয়েছে পরিবহন ব্যয়। ক্রেতারা যে দাম বলছেন তাতে তার লোকসান হবে।মির্জ্জা আনাস নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘গরুর সাইজের তুলনায় দাম একটু বেশিই মনে হচ্ছে। এজন্য আরও কয়েকটি হাট দেখবো।’
৬০ হাজার টাকা দিয়ে একটি ছোট সাইজের গরুর ক্রেতা জানান, তাকে এক হাজার টাকা এবং বিক্রেতাকে ২০০ টাকা হাসিল দিতে হয়েছে। এটা অনেক বেশি।অন্যান্য গরু ও ছাগল ব্যবসায়ী একই অভিযোগ করে বলেন, হাসিল বাবদ প্রায় দ্বিগুণ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
তবে হাটের ইজারাদার টিপু বলেন এবার এখনো সব হাটেই পশু আমদানী কম। বিষয়টি তাদের ও বোধগম্য নয়।তবে আরো হাটট ররয়েছে।সেসব হাটে গরু আমদানি ও ক্র্রেতা বাড়বে বলেই তারা প্রত্যাশা করছেন। তবে হাসিল বেশি নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। তারা গরু প্রতি ৮০০ টাকা করে হাসিল নিচ্ছেন।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিন সুলতানা বলেন, পশুহাটে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মেশিন নিয়ে জালনোট শনাক্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনো পশু অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *