স্টাফ রিপোর্টার
এনজিও ঋণ আর সুদকারবারিদের চাপে বৃদ্ধ আলম শেখ (৬৫) ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম (৫০) একসাথে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। বুধবার সকাল ৯টার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বৃদ্ধ আলম শেখ উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের হামলাইকোল গ্রামের বাসিন্দা। নিজের বাড়িতেই তারা বিষপান করেুন।
বৃদ্ধ দম্পতির মেয়ে আলপনা আক্তার বলেন, বছর দেড়েক আগে বাড়ির ভিটাসহ দেড় বিঘা জমি তার ভাই সবুজ হোসেনের নামে লিখে দেন বাবা আলম শেখ। শর্ত ছিল তিনটি এনজিও ও সুদ কারবারিদের কাছ থেকে নেওয়া ৫ লাখ টাকার ঋণ পরিশোধ করবেন সবুজ। কিন্তু সবুজ ঋণের একটি টাকাও শোধ করেননি। উপরন্ত সবুজের স্ত্রী তার পিতা-মাতার সাথে দুর্ব্যবহার করেন।
তিনি বলেন, সবশেষ মঙ্গলবার কিস্তির টাকার জন্য আশা এনজিওরকর্মীরা বাড়িতে গিয়ে চাপ দেন। পারিবারিক কলহ আর ঋণের চাপে বুধবার সকালে ঘরের ভেতর পিতা-মাতা একসাথেই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মূমূর্ষ অবস্থায় গুরুুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কনে্েদ্র নিয়ে গেলে চিকিৎসকদের চেষ্টায় এখন অনেকটা ভাল।
পিতা-মাতার বিষপানে ঘটনায় ছেলে সবুজ বলেন, ৬৬ শতাংশ জমি তিনি তার পিতার কাছ থেকে নগদ ৫ লাখ টাকায় কিনেছেন। এখনো তার আয়েই পিতা-মাতার ভরণপোষণ চলে। মূলত এনজিওর ২ লাখ ও সুদের ৩ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পেরে পাওনাদারদের চাপের শিকার হয়ে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তার পিতা মাতা।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক স্নিগ্ধা আক্তার জানান, ‘তরল কীটনাশক পান করেছেন বৃদ্ধ দম্পতি। তবে তারা এখন আশঙ্কামুক্ত।
এ বিষয়ে গুরুদদাসপুর থানার ওসি উজ্জল হোসেন বলেন , এধরণের কোন অভিযোগ তিনি পাননি।