দালাল ও ঘুষ প্রথা বাদসহ আট দফা দাবি নিয়ে নাটোর লং-মার্চ টু বাংলাদেশ রোডস্ ট্রান্সপোর্ট অথরিটিতে আসেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। পাঁচটি দাবি মেনে নিয়ে বাকি তিনটি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন সহকারী পরিচালক। 

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে নাটোর বিআরটিএ কার্যালয়ে সহকারী পরিচালকের সাথে দেখা করে আট দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করেন শিক্ষার্থীরা। 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, আটটি দাবি নিয়ে ছাত্র সমাজ বিআরটিএ কার্যালয়ে আসেন। সহকারী পরিচালকের সাথে আলোচনায় বসলে তিনি পাঁচটি দাবি মেনে নেয়। বাকি তিনটি দাবি সাত কর্ম দিবসের সময় নিয়েছেন। 

নাটোর বিআরটিএ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ছাত্ররা আটটি দাবি নিয়ে কার্যালয়ে আসেন। তাদের সাথে আলোচনা শেষে দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। বাকি তিনটি দাবি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দাবি গুলোর মধ্যে, দালাল প্রথা বাদ দিতে হবে। ঘুষ না নিয়ে কাজ করতে হবে। লাইসেন্স সংক্রান্ত কাগজপত্র অফিস থেকে প্রদান করবে। অফিস কর্মকর্তা ও লাইসেন্স সংক্রান্ত কাজ ব্যতীত বাহিরে কেউ অফিসে আসতে পারবে না। দূর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনা নিশ্চিত করতে হবে এবং তা ৭ দিনের মধ্যেই করতে হবে, দাবি গুলো মেনে নেয়া হয়। আর বাকি তিনটি দাবি হলো, যে কোনো শো-রুম থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি বিক্রয় হবে না, তা নিশ্চিত করতে হবে। নাটোর প্রশাসন ভবন থেকে আলাদা জায়গায় নতুন অফিস নিশ্চিত করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশনের পর নম্বর আসার ৭ দিনের মধ্যে ডিজিটাল নম্বর প্লেট গ্রাহক অবদি পৌঁছাতেহবে। এই দাবি গুলো আগামি সাত কর্মদিবসের মধ্যে মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন সহকারী পরিচালক।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *