স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের বড়াইগ্রামে আগুনে মুরগির খামার পুড়ে সোনালী স্বপ্ন বিলীন হোলো শামীম হোসেন (৩২) নামের এক যুবকের। রোববার রাতে উপজেলা বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের উপলশহর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শামীম হোসেন ওই গ্রামে আইয়ুব আলীর ছেলে।
স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য নুর ইসলাম সিদ্দিক বলেন, দরিদ্র শামীম হোসেন আতœনির্ভরশীল হতে ৪ বছর আগে ঋণ নিয়ে মুরগীর খামার শুরু করেন। সর্বশেষ গত এক মাস আগে পুনরায় ২ হাজার বাচ্চা তুলেন খামারে। আর ১০ দিন পরে বিক্রয় করার জন্য উপযুক্ত হতে যাচ্ছিল। হঠাৎ করেই রাত একটার দিকে খামারে আগুন দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে ততক্ষণে সব পুড়ে শেষ।
শামীম হোসেন বলেন, আমি নতুন বাচ্চা আনাতে রাজ্জাক মোড়ে যাই। সেখান থেকে ফিরতে গাড়ীতে উঠার পর মোবাইলে খবর পাই খামারে আগুন লাগছে। এসে দেখি আমার সব কিছু পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। এখন নতুন বাচ্চা রাখার জায়গাও নাই। তিনি বলেন, দুই হাজার মুরগি সাড়ে ৫ লাখ টাকা বিক্রয় করা যেত। ঘরসহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শামিমের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস মিলি বলেন, এনজিও থেকে দুই লাখ টাকা ঋণ নিয়ে খামার করে ছিলাম। আর কয়েকদিন পর মুরগি বিক্রয় করে কিছু টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। এখন আমরা ঋণের টাকা দেবো কেমন করে আর সংসারই বা চালাবো কেমন করে।
বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মমিন আলী ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।