স্টাফ রিপোর্টার
নাটোরের বড়াইগ্রামে নিখোঁজের ৩দিন পর সোহাগ হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার আগ্রাণ এলাকার একটি গাছের শেকড়ের ভিতর লুকানো অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহটির মুখমন্ডল থেঁতলানো, পায়ের রগ কাটা ও দুই চোখ উপরানো ছিলো। তাকে ঘাতকরা পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে বলে মনে করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা। নিহত সোহাগের মূল বাড়ি রংপুর জেলায় হলেও দীর্ঘবছর যাবত সে তার মা ও স্ত্রী-সন্তান সহ বড়াইগ্রাম থানা কার্যালয়ের গেইট সংলগ্ন নানা মৃত তয়জাল হোসেনের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলো। নিহত সোহাগের পিতার নাম কলিমউদ্দিন সেখ। সে গত বৃহস্পতিবার রাতে তার নানা বাড়ি এলাকার আকাশের নামে এক বন্ধুর সাথে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরে অনেক খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে খুঁজতে খুঁজতে তার মা আগ্রাণ এলাকায় আসলে দুর্গন্ধ পেলে কাছে এসে দেখে তার ছেলেরই লাশ পড়ে আছে। লাশ দেখে তাৎক্ষণিক সোহাগের মা জ্ঞান হারালে স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্থানীয় হাসাপাতালে ভর্তি করে।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছালাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটা একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। পুলিশ হত্যার কারণ ও হত্যার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করাসহ আটক করতে কাজ শুরু করেছে।

